ডেঙ্গু এখন সারা বছরের রোগে পরিণত হয়েছে, যা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। এডিস মশার বিস্তার এবং ডেঙ্গু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান
২০২৪ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার গত বছরের তুলনায় কম হলেও, সচেতনতার অভাব এবং পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
চট্টগ্রামে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪,৩১৮ জন, যার মধ্যে ৪৫ জন মারা গেছেন। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছিলেন অক্টোবর মাসে। মৃত্যুর ক্ষেত্রে নারীদের হার পুরুষের তুলনায় বেশি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, নারীদের জ্বর নিয়ে উদাসীনতা এবং দেরিতে চিকিৎসার ফলে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে।

ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে করণীয়
১. পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা: এডিস মশা সাধারণত স্বচ্ছ পানিতে বংশ বিস্তার করে। তাই যেকোনো জমে থাকা পানি দ্রুত পরিষ্কার করতে হবে।
২. মশারি ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা: ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার এবং মশার কামড় থেকে বাঁচতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩. সচেতনতা বৃদ্ধি: স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্যসেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে ডেঙ্গুবিরোধী প্রচার কার্যক্রম বাড়াতে হবে।
৪. প্রাথমিক চিকিৎসা ও দ্রুত হাসপাতাল ভর্তির উদ্যোগ: ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
প্রস্তুতিমূলক উদ্যোগ
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, বর্ষার আগে থেকেই ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হবে। করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। থেমে থেমে বৃষ্টির সময় এডিস মশার বিস্তার বেশি হয়, তাই এই সময়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
দেশজুড়ে সকল জেলায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ, জনসচেতনতা এবং চিকিৎসাসেবায় আরও উন্নয়ন প্রয়োজন। সকল মহল একসাথে কাজ করলে ডেঙ্গুর বিস্তার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
এজেড ওয়াল্ড ২৪ প্রতিবেদক
ঢাকা, বাংলাদেশ