ঢাকা, ৩ জানুয়ারি: শহিদ তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা। ৫৫ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদের সাম্প্রতিক বাগদান অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তাকে ঘিরে উঠেছে নানা গুঞ্জন, যার মধ্যে অন্যতম দাবি হলো, এটি তার সপ্তম বিয়ে। গত ২৯ ডিসেম্বর সোহেল তাজ তার ইনস্পায়ার ফিটনেস সেন্টারে এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে হাঁটু গেড়ে বসে শাহনাজ পারভীন শিমুর হাতে আংটি পরিয়ে তাদের বাগদান সম্পন্ন করেন। সেই মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর থেকেই গুঞ্জন শুরু হয় যে, এটি সোহেল তাজের সপ্তম বিয়ে। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে উঠে আসা এই দাবি নিয়ে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। কেউ কেউ তাকে নিয়ে কৌতুক করতে থাকেন, আবার অনেকেই সমালোচনা করেন।
এই বিতর্কের জবাব দিতে বৃহস্পতিবার রাতে সোহেল তাজ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন। তিনি লিখেন, “আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করেছেন আমার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে। আমি কিছুই বলবো না কারণ এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়।” তবে তিনি তার পোস্টে দুটি মন্তব্য শেয়ার করেন এবং পাঠকদের সেগুলো দেখে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে বলেন।
সোহেল তাজ তার পোস্টে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করলেও নিন্দুকদের উদ্দেশ্যে কড়া ভাষায় লিখেন: “দৃষ্টি আকর্ষণ: গণহত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন/নিপীড়নকারী, দুর্নীতিবাজ, গণতন্ত্র হত্যাকারী চোর/মাফিয়াদের সমর্থনকারী ব্রেন ওয়াসড নব্য কাওয়া বডিলীগের চামচাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আওয়ামী লীগের ব্রেইন ওয়াশড নষ্ট পচা নীতি/আদর্শবিচ্যুত লুটেরা, খুনি, হত্যা, গুম, নির্যাতনকারীদের সমর্থক সকলকে বলবো অনতিবিলম্বে আমার এই ফেইসবুক পেজটি আনফলো করতে।”
সোহেল তাজ স্পষ্ট করেন যে, তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলছেন, তাদের জন্য তিনি কোনো ব্যাখ্যা দিতে বাধ্য নন। তার মতে, ব্যক্তিগত বিষয়গুলো একান্ত তার নিজের এবং এ নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা বা বিতর্ককে তিনি গুরুত্ব দিতে চান না। সোহেল তাজ রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর পর থেকে নানা সামাজিক উদ্যোগ ও ফিটনেস সচেতনতা কার্যক্রম নিয়ে কাজ করছেন। তার ফিটনেস সেন্টার ও জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম তাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনপ্রিয় করেছে। তবে ব্যক্তিগত জীবনের বিষয়ে তিনি বরাবরই নিরব থাকেন। তাই তার বাগদানকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া গুঞ্জন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এত বেশি প্রভাব ফেলেছে।
সোহেল তাজের এই পোস্টের পরেও তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা থামেনি। কেউ তার গোপনীয়তা রক্ষার পক্ষে মত দিয়েছেন, আবার কেউ অতীত সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করতে থাকেন। তবে তার সমর্থকরা মনে করেন, এটি তার একান্ত বিষয় এবং এ নিয়ে অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করা উচিত নয়। সোহেল তাজ তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি তার ব্যক্তিগত জীবনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না। এই ঘটনা আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে, ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে গুঞ্জন তোলা কারও মানসিক চাপের কারণ হতে পারে এবং এটি এড়িয়ে চলা উচিত।